ছেলে পালিয়ে বিয়ে করায় তার স্কুল শিক্ষক বাবাকে কান ধরে উঠবস করানোর অ'ভিযোগ উঠেছে ফরিদপুরের মধুখালী থানার ওসির বিরু'দ্ধে।








বিয়ে মেনে না নিতে পারায় আরও নানা ধরনের হয়রানির অ'ভিযোগ উঠেছে কনের পরিবারের বিরু'দ্ধে। এ অবস্থায় নিরাপ'ত্তা চেয়ে জিডি করেছেন ভুক্তভোগী দম্পতি।
চলতি মাসের ১১ তারিখ ফরিদপুরের মধুখালীর বাসিন্দা সেতু ঘোষ পালিয়ে বিয়ে করেন একই এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সজীব বিশ্বা'সকে।








এই দম্পতির অ'ভিযোগ, বিয়ে মেনে নিতে পারেনি বিত্তশালী সেতুর পরিবার। বিয়ের পর থেকেই সজীবের পরিবারের উপর নানাভাবে হয়রানি করছে তারা।
হয়রানি থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী সেতু বিশ্বা'স ও সজিব বিশ্বা'স।








সংবাদ সম্মেলনে সেতু বিশ্বা'স জানান, তিনি সাবালিকা এবং নিজ ইচ্ছায় বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছেন। সজিবের পরিবার বিত্তশালী না হওয়ায় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এমনকি তার শ্বশুরকে থানায় ডেকে শারীরিক নি'র্যাতনের পাশাপাশি ওসি কান ধরে উঠবস করিয়েছেন বলে অ'ভিযোগ করেন সেতু।
থানায় ডেকে নিয়ে সজীবের স্কুল শিক্ষক বাবা সুশান্ত কুমা'র বিশ্বা'সকে কান ধরে ওঠবস করানো হয়। করা হয় মা'রধরও।








সজীব বিশ্বা'স বলেন, থানায় উপস্থিত সবার সামনে বাবাকে কান ধরে উঠবস করান থানার ওসি। এ সময় শারীরিক নি'র্যাতনও করেন ওসি। সজিবের প্রশ্ন একজন শিক্ষকের স'ঙ্গে থানার ওসি কী এমন আচরণ করতে পারেন?
সজীবের বাবা সুশান্ত কুমা'র বিশ্বা'স জানান, থানায় পৌঁছানোর স'ঙ্গে স'ঙ্গেই আমাকে শার্টের কলার ধরে ওসির কক্ষে নিয়ে যায়। ওসির রুমে সে সময় বসা ছিলেন মেয়ের কাকা ও তার সহযোগিরা। এ সময় তিনি সবার সামনে নানা অ’পমানজনক কথা বলার পাশাপাশি কান ধরে উঠবস করানো হয় এবং লাঠি দিয়ে আঘা'ত করেন।








তবে, এই অ'ভিযোগ অস্বীকার করেছেন মধুখালী থানার ওসি আমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, মেয়েপক্ষের লোক অবস্থা সম্পন্ন আর ছেলেপক্ষ গরিব এটা সত্য। তারা দুই পক্ষ আসছিলো। মাস্টার বলেন, আমাকে দুইদিন সময় দিন, এরমধ্যে হাজির করবো। এখন যে সে উল্টাপাল্টা কথা বলে বেড়াচ্ছে। সত্য না, তারা যদি আকাশে উঠেও বলে, ম'ঙ্গল গ্রহে গিয়ে বলুক, প্রমাণ করতে হবে তো তাই না।
এদিকে, মিথ্যা মা'মলায় ফাঁ'সানোর পাশাপাশি হ'ত্যার হু’মকি পাওয়ায় রাজধানীর সবুজবাগ থানায় নিরাপ'ত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছেন সেতু ও সজীব।