জাতীয় ফুটবল দলের তারকা সোহেল রানা তার জীবনস'ঙ্গিনী হিসেবে খুঁজে পেয়েছেন তামিলাকে। যার ভালো লাগে ফুটবল খেলা দেখতে। সেই খেলা দেখতে এসেই তো প্রেমে পড়ে যাওয়া।








জয়ের গল্পের শুরুটা ফেসবুকে মেসেজ পাঠানো থেকে, তামিলার সেই আইডিকে ফেক আইডি ভেবেছিলেন আবাহনী লিমিটেডের এই মিডফিল্ডার ।
দুজনের প্রেমের গল্পের শুরুটা সৈয়দা তামিলা সিরাজীর মুখ থেকেই শোনা হলো, ‘আমি ফুটবল খুব পছন্দ করি। ২০১৫ সালে ব'ঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনাল খেলা দেখতে মাঠে যাই। সেদিনই আমা'র প্রথম স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখা।








১১ জন ফুটবলারের মধ্যে সোহেলের খেলা আলাদাভাবে ভালো লেগেছিল। পরে ফেসবুকে খুঁজে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলাম। প্রথমে বন্ধু, পরে প্রেমের সম্পর্ক। ছয় বছরের প্রেম আজ পূর্ণতা পেয়েছে বিয়ের মাধ্যমে।








রোববার দুপুরে রাজধানীর এক রেস্তোরাঁয় সোহেল ও তামিলার চার হাত এক করে দিয়েছেন দুজনের পরিবার। এর আগে স্থানীয় এক মসজিদে পড়ানো হয় বিয়ে।
ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করা তামিলার পছন্দের ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে খেলোয়াড় হিসেবে সোহেলই তার কাছে বিশ্বসেরা।








ভালোবেসে সোহেলকে যিনি বিশ্বসেরা বলছেন, সেই তামিলার ফেসবুক আইডিকে প্রথমে ফেক ভেবেছিলেন সোহেল। আসল বা নকল যা-ই হোক না কেন, প্রতিদিনই তামিলার কাছ থেকে আসা বার্তাগু'লো পড়তেন। একসময় মনে হলো, পরিচিত হওয়া যাক। ফেসবুকে ছয় মাসের পরিচয় শেষে এক রেস্তোরাঁয় দেখা। প্রথম দর্শনেই ফেক আইডির মানুষটিকে ভালো লেগে যায় সোহেলের।








সম্পর্কের শুরুর দিকের গল্প শোনাচ্ছিলেন সোহেল, ও আমাকে প্রচুর মেসেজ পাঠাত। কেন যেন মনে 'হতো ফেক আইডি। কিন্তু প্রচুর মেসেজ আসায় শেষ পর্যন্ত পরিচিত হই। ওর আগ্রহে দেখা করি। প্রথম দিনই আমা'র ভালো লেগে যায়।
বিয়ে হলেও নতুন জামাই হিসেবে সিরাজগঞ্জ তামিলার গ্রামের বাড়ি বা ঢাকার মোহা'ম্ম'দপুরের শ্বশুরবাড়িতেও বেড়ানোর সুযোগ নেই সোহেলের।
চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে। ১২ ম্যাচ শেষে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সোহেলের দল আবাহনী। বর্তমানে ছুটি কা'টালেও ১২ মা'র্চ থেকে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হওয়ার কথা। স্কোয়াডে ডাক পেলে বাংলাদেশের হয়ে নেপালে খেলতে যাওয়ার কথা রয়েছে সোহেলের।